আপনি ফেসবুক পেজ এর এডমিন? তাহলে এই পোস্ট টি আপনার জন্য

আমার পোস্টিং প্যানেলে আপনাদের স্বাগতম। আশা করি সবাই ভাল আছেন।আজকে লিখবো ফেসবুক থেকে খনিকক্ষন আগে খুঁজে পাওয়া নতুন একটি ফিচার নিয়ে। আসলে সামাজিক যোগাযোগের সাইট হিসেবে ফেসবুক এখন গুগলপ্লাস এর সাথে তাল মিলতে গিয়ে অনেক সেবাই নতুন ভাবে নিয়ে আস্তে হচ্ছে ফেসবুক গ্রাহকদেরজন্য। সেই সুত্র ধরেই নিত নতুন ফিচারের আবিষ্কার। চলুন মূল কথায় যাই…
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা একাধিক ফেসবুক ফান পেজ চালান। এমনও দেখা যায় একই পেজের জন্য কয়েকজন এডমিনও আছেন। আচ্ছা ধরুন, আপনি পেজ এরক্রিয়াটর আর অন্যদেরকে আপনি ইনভাইটকরেছেন এডমিন হিসেবে। কখনও যদি এমনটা হয় আপনার সাথে তাঁদের থেকে ২/১ জনের সাথে পেজ নিয়ে কোন কারণে দ্বন্দ্ব লেগেছে! তাহলে? নিশ্চয় সে যদি ইচ্ছা করে আপনার পেজের এমন ক্ষতি করে ফেলতে পারে যা আমাকে বুঝায় দিতে হবে না।
আপনার যারা পেজ চালান তাঁরা ভাল করেই জানেন, পেজ এর জন্য আপনি যাকে নিয়োগ করলেন সে উক্ত পেজ এর সর্বময় ক্ষমতার অধিকারি হবে। রাইট? তাহলে বুঝুন কারো সাথে দ্বন্দ্ব লাগবে কিন্তু আপনার সখের পেজ …
আরে রাখেন এত চিন্তা!!! ফেসবুকের ফান এর নতুন ফিচারে যুক্ত হয়ে পেজ একাধিক এডমিন রোলস(Roles) যা আগে ছিল না। মনে রাখবেন একাধিক এডমিন রোলস(Roles )। এখন আপনি চাইলেই যেকাউকে এডমিন করতে পারবেন এবং সাথে যাকে খুশি পেজ এর পুরো দায়িত্ব(Manage) , কাউকে Content Creator (Content প্রস্তুতকারক) , কাউকে মডেরেটর(Moderator) , বিজ্ঞাপন তৈরিকারক (Advertiser) , Insights Analyst(অর্ন্তদৃষ্টি বিশ্লেষক) হিসেবে আলাদা আলাদা করে ক্ষমতা দিতে পারেন। এতে একেক জনের জন্য আলাদা আলাদা পার্ট এক্সেস এর সুযোগ থাকবে। আপনি যদি মনে করেন আপনিই শুধু রুট এডমিন হিসেবে পুরো দায়িত্ব(Manage) থাকবেন সেটাও করতে পারেন আর বাকিদের প্রয়োজন হলে সেভাবে দায়িত্ব ভাগ করে দিবেন। এতে করে কেউ ক্ষমতার অপব্যবহার করতে পারবে না চাইলেও!
এডমিন রোলস(Roles) গুলো নিয়ে আলাদা করে বিস্তারিত লিখলাম না। কারণ বেপার গুলো আপনারা দেখলেই বুঝবেন। তাই অতিরিক্ত লিখা পড়ে সময় নষ্ট করার কোন মানেই হয় না। আপনি এডমিন রোলস(Roles) গুলো দেখতে এবং ব্যবহার করতে চাইলে নিচের স্টেপগুলো অনুসরন করুণ…

১. আপনার পেজ এর ডানপাশে থেকে Admin Panel বাটনে ক্লিক করুন…
২. আবার Edit এ ক্লিক করুণ…
৩. Edit এ ক্লিক করলে নিচের মত এডিট সেটিংস পেজ আসবে। সেখানে থেকে AdminRoles সাইড মেন্যু সিলেক্ট করুণ। নিচের মত পেজ পাবেন…
৪. আবার আপনি যাকে যেভাবে দায়িত্ব দিতে চান সেভাবে তার রোল নির্ধারন করে দিন নিচের ছবির মত। আপনি চাইলে আগে থেকে অ্যাড করা এডমিনদেরও রোল পরিবর্তন করে দিতে পারেন অথবা নতুন করে কাউকে অ্যাড করলে তাকেও রোল নির্ধারন করে দিয়ে অ্যাড করে নিতে পারেন আপনার পেজ এডমিন প্যানেলে।
৫. সবশেষে সেভ করুণ!
আর কিছু বলার আছে কি???
আজ এই পর্যন্তই ….!!!
আমি নতুন ।ভালো লাগলে প্লীজ লাইক কমেন্ট করে একটু উত্‍সাহ দিবেন ।
সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন।
নিজেকে গড়ে তুলুন প্রযুক্তি যোদ্ধাহিসেবে!!!

উপহার নিন বিশ্বখ্যাত Eset Internet Security (জেনুইন লাইসেন্সসহ)সাথে অনেক কিছু! ১০০% কাজ হবেই ও কিছু আলোচনা !!

৭৮৬
আমরা অনেকেই Antivirus Software ব্যবহার করি। এমন কোন পিসি ব্যবহারিকে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর যারা এন্টিভাইরাস ব্যবহার করেন না। এই এন্টিভাইরাস আবার অনেকে ফ্রি এবং ক্রয় করে ব্যবহার করে। এর মধ্য অবশ্য ফ্রির সংখ্যাটাই বেশী। Antivirus যেটাই ব্যবহার করি না কেন তাকে যদি প্রতিনিয়ত Update না করা হয় তাহলে ক্ষতিকর ভাইরাসের বিপক্ষে কোন কাজে আসবে না।
তবে Free ও License এন্টিভাইরাসদের মধ্য অনেক কিছু পার্থক্য আছে। কেননা,  ফ্রিতে অত Security Patch ব্যবস্থা থাকেনা। যেমন- Internet security বলতে Firewall protection, Security Zone, Mail protection, Hacking protection, Free customer সেবা ইত্যাদি। কিন্তু যারা License Software ব্যবহার করেন তারা উক্ত সুবিধাগুলো পেয়ে থাকেন। তাছাড়া বিভিন্ন Antivirus vendor তাদের সার্ভারে ফ্রিভাবে  ১/২ বছরের জন্য গ্রাহককে ২-৫ GB ডাটা আপলোড করার সুযোগ দেয়।
বর্তমান সময়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, অনেকেই License Software ব্যবহার করছে কিন্তু সেটা হয় Crack করা বা Customize করা। পৃথিবীর বিশ্বখ্যাত সকল ভেন্ডরেরই কম-বেশী Crack করা এন্টিভাইরাস অনেক গ্রাহকই ব্যবহার করছে। বিশেষ করে আমাদের দেশের মত অন্য দেশগুলো । আপনারা হয়ত অনেকেই দেখেছেন ও ব্যবহার করছেন বিভিন্ন প্রকার ক্রাক করা Antivirus যেমন-
১। Norton (NIS) ৮০ বছরের লাইসেন্স
২। Panda ও Webroot এন্টিভাইরাসের ৩০০০ দিনের ব্যবহার
৩। Avast এর ২৮ ও ৫০ বছরের লাইসেন্স…… চলবে ২০৫০ সাল পর্যন্ত।
৪। Kaspersky ২০১৮ সাল পর্যন্ত ও Lifetime ব্যবহার
৫। Avira ২০১৬ সাল পর্যন্ত।
৬। Eset security 2016 সাল পর্যন্ত। এবং Lifetime ব্যবহার
৭। Macafee আজীবনের জন্য ব্যবহার করুন।
আমরা অনেকেই এই তথ্যগুলো জানি ও ব্যবহার করছি। তাছাড়া এই বিভিন্ন ব্লগের লেখকেরা হয়ত এই বিষয় নিয়ে ইতিপূর্বে ব্লগে পোষ্ট করেছেন। আমার চোখেও এই বিষয়টা পড়েছে। যেমন-PC HELP LINE BD তে এই বিষয়ে অনেক পোষ্ট রয়েছে। অনেক ব্লগার ভাই তাদের মেধা ও  শ্রম দ্বারা এন্টিভাইরাস বিষয়ে  অনেক বিষয়াদি, ব্যবহার কৌশল সুনিপূণভাবে উপস্থাপন করেছেন। তাদের এই এই সকল পোষ্ট আমাদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে তাদের সবাইকে অভিননন্দন ও ধন্যবাদ জ্ঞাপণ করছি।
সত্যি কথা বলতে কি! আসলে এই সকল ক্রাক করা বা লাইসেন্স এন্টি ভাইরাসের কিছু সুবিধার দিক থাকলেও অনেক অসুবিধার দিক রয়েছে। যেমন প্রথমত সুবিধার কথাটাই বলছি—
১। আমরা যে সকল ক্রয় করা লাইসেন্স এন্টিভাইরাস ব্যবহার করি। এই সকল এন্টিভাইরাস কোম্পানী গুলো সবাই বিদেশী। এদের অধিকাংশই আমেরিকা ও ইউরোপিয়ান দেশগুলোতে বাড়ী। মূলত এরা আমাদের মত গরীব দেশগুলোর কাছ থেকে দেশী অর্থ তাদের ঘরে নিয়ে যাচ্ছে। ফলে কিছুটা হলেও আমাদের অর্থ ঘাটতি থাকছে। অপরদিকে আমাদের দেশের সফট ওয়্যার প্রকৌশলিরা এন্টিভাইরাস যদি প্রস্তুত করতে পারতেন তাহলে বিদেশীদের কাছ থেকে আমাদের এই সফটওয়্যারটি ক্রয় করতে হত না। উপরন্তু এটা  তৈরি করতে পারলে আমরা নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তনী করে সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধিতে সহযোগীতা করতে পারতাম। এতে যেমন আয় হত আবার বিদেশের মাটিতে আমার দেশের সুনাম ও ভাবমূর্তী আরও একধাপ বৃদ্ধি পেত। যেমন বর্তমানে ভারত তাদের নিজেদের তৈরিকৃত  Antivirus ব্যবহার করছে। দেশের প্রায় ৬৫% চাহিদা মিটিয়ে বাইরের দেশে রপ্তানী করছে। এই সফটওয়ারটির নাম Quick Heal Security । আমাদের দেশেও এটি ৮৫০/- টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। সুতরাং এখানে যে সকল দেশগুলো  এন্টিভাইরাসের Business করছে মুলত সেই দেশের সরকারের Income হচ্ছে।
২। আমাদের দেশের এন্টিভাইরাস প্রস্তুতকৃত প্রকৌশলী এখনও তেমন গড়ে ওঠেনি। এর মধ্য বেশ কয়েকজন এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার প্রস্তুত করেছিলেন  ও  উদ্যোগ গ্রহন করেছিলেন। কিন্তু সেইগুলো তেমন নির্ভরযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হয়নি।
৩। মূলত Antivirus প্রস্তুত করতে অনেক অর্থের বিনিয়োগ ঘটাতে হয়। বিদেশী যে সকল ভেন্ডর রয়েছে তাদেরকে যেমন কোটি কোটি অর্থ ব্যয় করতে হয়। আবার সমগ্র দেশে এই সকল এন্টিভাইরাস বিতরন করে তারা কোটি কোটি টাকা আয় করে থাকেন।
৪। একটি এন্টিভাইরাস কোম্পানী গঠন করতে যেমন প্রচুর অর্থের যোগান দিতে হয়। সেই দেশের সরকার মহল, ব্যবসায়ী ও সামাজিক সংগঠনগুলো  অনেক গুরুত্বপূর্ণ সহযোগীতা ও নানান পদক্ষেপে জড়িত থাকে। কিন্তু আমাদের দেশে এই রকম সুযোগ এখনও তৈরি হতে পারেনি। কথায় আছে না- “দিন আনতে পান্তা ফুরায়।“ তাই অন্য দেশের মত আমাদের বাংলাদেশীদের অবস্থা একই রকম।
৫। এইদিকে আমরা যারা ক্রাক করা Antivirus ব্যবহার করব। তাহলে অনেকদিন ধরে ব্যবহার করতে পারব। অযথা অর্থ খরচ করতে হবে না। আবার বিদেশীরাও  আমাদের কাছ থেকে অর্থ নিতে পারবেনা। আমাদের ঘরের অর্থ ঘরেই থাকরে। উল্টো মনোভাব হতে হবে কিভাবে দেশের অর্থ সেইভ করা যায়, আর বিদেশী অর্থ নিজেদের ঘরে বেশী বেশী করে আনা যায় ইত্যাদি।
৬। এমন পিসি ইউজার আছেন যারা টাকা খরচ করতে ইচ্ছুক নয়। অথচ সিকিউরিটিও ব্যবহার করতে চান তাহলে বলছি তাদের জন্য ক্রাক করা সফটওয়্যার ব্যবহার করাটাই বেশী উপযোগী। আর যারা এটি গ্রহন করেন না তাদেরও কোন ধরা বাধা নিয়ম নাই। ইচ্ছা করলে আপনি না হয় License Software গ্রহন করলেন। আসলে সবার রুচিবোধ  সমান নয় তাইনা!
অসুবিধা সমূহ-
১। এই সকল ক্রাক করা এন্টিভাইরাসের যেমন- অনেক দিনের ব্যবহারের আশা পোষণ করছি। তেমনি বর্তমানে অসুবিধা সৃষ্টি করবেনা বা পরবর্তীতে প্রতিবন্ধকতা হবে না। এরই বা কি গ্যারান্টি আছে।
২। মূলত ক্রাক করা আভিধানিক অর্থ হল কম্পিউটারের ভাষাতে ভাঙ্গা (Break), সংশোধনী, জুড়া (Joint structure) লালানো ইত্যাদি।অর্থা যে সকল Software সহজে চলতে চাইনা, নিদিষ্ট সময় পার হলেই অচল হয়ে যায় আর ব্যবহার উপযুক্ত থাকেনা ইত্যাদি। তখন তাকে অন্য মাধ্যমে জোর করে চালানোকেই ক্রাক (Crack) বলা হয়ে থাকে।
৩। এই ক্রাক গুলো বিভিন্ন সফটওয়্যার Programmer রচনা করে থাকেন। অর্থা তারা পূর্বের মূল সফটওয়্যার থেকে পূরাতন সোর্স কোড গুলাকে সংগ্রহ করে বা হ্যাকিং করে নিজেদের মত করে লিখে পরিবর্তন ঘটান । আবার অন্য একটি Software এর কোডিং অন্য একটিতে জোড়া লাগিয়ে দেন। অতপর এটিকে ক্রাক হিসাবে ব্যবহার করা হয় ও বিতরন করা হয়।
৪। মূল কোম্পানী কিন্তু তাদের তৈরিকৃত নিজেদের Software কে কোনরুপ ক্রাক করেন না। তেমনি এন্টিভাইরাস কোম্পানীও। কারন তারা যদি ক্রাক করেন তাহলে উক্ত কোম্পানীর ১২ টা বাজতে বেশী সময় নিবে না।
৫। সফটওয়্যার বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই ক্রাকগুলো বিভিন্ন দেশের প্রাগ্রামারার রচনা করে থাকেন। তাছাড়া এর মধ্য হ্যাকারেরা যুক্ত থাকে। অনেক ক্ষেত্র দেখা যায় কোন একটি কোম্পাণীতে যে কর্মকর্তা/কর্মচারী  কর্মরত ছিল সে যদি চাকুরি ছেড়ে অন্য কোথাও চলে যায় পরবর্তীতে তখন তার জানা কোডিং গুলোকে অপরাধ হিসাবে যোগ করে ক্রাক করা বা হ্যাকিং করা হিসাবে। তাছাড়া অনেক প্রতিপক্ষ কোম্পানী অন্য একটি কোম্পানীকে সুনাম নষ্ট করতে ও  ১২ টা বাজাতে এই সকল প্রোগ্রামারকে অর্থের বিনিময়ে ভাড়া করে।
৬। এন্টিভাইরাস কোম্পানীর ক্ষেত্রে এখানে মজার বিষয় হল- ঐ সমস্ত কোডিং গুলো যে যতই জানুক, লিখুক বা হ্যাক করুক পরবর্তীতে তেমন কোন কাজে আসেনা। কেননা, এন্টিভাইরাস কোম্পানীর কোডিংগুলো সবসময় পরিবর্তন ও আপডেট হতে থাকে। এবং নতুনভাবে তাদের নিরাপত্তাবলয় আরও একধাপ বৃদ্ধি করা হয়। তাছাড়া নির্বাহী কর্মকর্তাগণ  এই বিষয়টির ব্যাপারে অবগত যে. বিশ্বের অনেক স্থানে এইরকম কোডিং ব্যবহার করে ক্রাকের কাজ করা হয়। আরেকটি কথা এই কোডিং ব্যবহার করে অনেক ভূয়া এন্টিভাইরাস তৈরি হচ্ছে।  এবং অনেক দেশেই তা বিতরন করা হচ্ছে । বর্তমানে আমাদের দেশেও এই ভূয়া এন্টিভাইরাস পাওয়া যাচ্ছে। পরবর্তী পোষ্টে ইনশাআল্লাহ্ এই সকল ভূয়া এন্টিভাইরাসের সাথে আপনাদেরকে পরিচয় করিয়ে দিব।
৭। আপনি একটু চিন্তা করে দেখেন অরিজিনাল লাইসেন্স যদি এভাবে ফ্রিতে বিলি করে তাহলে এভিজি/এভাইরা সহ সব পেইড এন্টিভাইরাস কোম্পানিগুলাকে পথে বসতে হবে ভাইজান। একটা প্রোগ্রাম তৈরি করতে লাখ লাখ লাইন কোড টাইপ করতে হয় আর এন্টিভাইরাস কোম্পানিগুলা এর জন্য হাজারখানেক প্রোগ্রামারকে বেতন দিয়ে পুষতে হয়। কমন সেন্সই বলে একটা পেইড এন্টিভাইরাসের সব সুবিধা ফ্রি / পাইরেটেড এন্টিভাইরাসে পাবেন না।
 তাহলে কেন তারা ক্রাক করবে?
৮। বর্তমানে পৃথিবীতে যত এন্টিভাইরাস ভেন্ডর রয়েছে তারা মুলত ১ ও ২ বছরে লাইসেন্স সেবা দিয়ে থাকে। কিন্তু তাই বলে ৩০, ৫০ ও ৮০ বছরের এই গুলো সবই ভুয়া। এবং প্রমোশন হিসাবে হয়ত ২০-৪৫% মূল্য ছাড়!  বা প্রমোশন হিসাবে ১ বছর বা ৩/৬ মাসের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। উদাহরন ভাবে বলা যায়, আপনি একটি নতুন এন্টিভাইরাস ক্রয় করবেন। দেখলেন মার্কেটে নতুন একটি অফার ঘোষনা করা হয়েছে- ১১০০/- টাকাতে ২ বছরের লাইসেন্স অথবা, ১১০০/- টাকাতে ৩ জন ইউজার ইত্যাদি। অর্থাৎ যেখানে পূর্বে ১১০০/- টাকাতে একটি এন্টিভাইরাস পাওয়া যেত সেখানে প্রমোশন হিসাবে বাড়তি অতিরিক্ত ১ বছরের মেয়াদ বেশী পাচ্ছেন। ফলে, ১+১=২ বছর হচ্ছে। কিন্তু পরবর্তীতে এই সুযোগ না থাকলে আপানাকে ২ বছরের জন্য আরও ১১০০/- টাকা ব্যয় করতে হবে। তাই এখানে প্রমোশন হিসাবে ১১০০/- সেইভ হচ্ছে। আর ব্যবহারকারী হিসাবেও এটি প্রমোশন আওতাভূক্ত। কেননা, পূর্বে একটি Antivirus যেখানে একজন ব্যবহার করতে পারত এখন সেখানে অতি ২ জনসহ মোট ০৩ জন ব্যবহার করতে পারবে।
নোট-
১। বাজারে দেখবেন অনেকে এন্টিভাইরাসের প্যাকেটে লেখা খাকে একজন ইউজার ১১০০/- আবার ৩ জন ইউজার ২২০০/-। আসলে এটা অনেকটা এন্টিভাইরাস কোম্পানী গুলোর চালাকী। একটা সতর্ক বার্তা জুড়ে দেওয়ার দরকার ইত্যাদি। এখানে গোপনীয় রহস্য হল- যদি ৩ জন ব্যবহারকারী হিসাবে  কেউ ক্রয় করে তাহলে তাহলে কোম্পানীর নীট ১১০০/- লাভ হবে। কেননা, ১ জন ব্যবহারকারীর ডিস্কে যদি ২০০ এমবি ফাইল থাকে তেমনি ৩ জন ব্যবহারকারীর ডিস্কে একই ফাইল ২০০ এমবি থাকে। তাই কোম্পানী বাড়তি লাভের আশায় এই চালাকি করে । বিদেশীরা তাদের নিয়ম নীতিতে অতি বিশ্বাসী  তাই তারা বাঙ্গালীদের মত ফ্রী খোঁজার চেষ্টা করে না। তাই যার যেটা প্রয়োজন সেটাই ক্রয় করে। আসলে ধনী রাষ্ট্র গুলো তো অর্থের কোন অভাব নাই।
২। এই কারনে যারা লাইসেন্স হিসাবে এন্টিভাইরাস ক্রয় করবেন আমার মতে তাদের ১ জন ইউজার দেখে ক্রয় করা উচিত। পরবর্তীতে না হয় অন্য জনের সাথে শেয়ার করুন। আসলে এমন এন্টিভাইরাস খুবই কমই আছে যারা ১ জন ব্যবহার করছে নাকি ৩ জন ব্যবহার করছে এই নজরদারিতে বেশী একটা মাথা ঘামায় না। এখন অনেকেই প্রশ্ন করবেন যদি অন্যজনের ক্ষেত্র অসুবিধা সৃষ্টি করে?  এই প্রশ্নত্তরে বলব – এখানে শুধু সিরিয়াল কী বা পাসওয়ার্ড দিলেই চলবে। আবার কিছু এন্টিভাইরাস রয়েছে যেখানে Mail ID চাই তাহলে সেখানে প্রথমজনের Mail ID দেখিয়ে দিতে হবে। অর্থাৎ এই পদ্ধতি একজন পাশাপাশি শত লোকের সাথে শেয়ার করতে পারবেন। এমন পদ্ধতি ব্যবহার করলে ক্রাকের প্রয়োজন হয়না।  এখন অনেকে অপর জনকে ব্যবহারের সুযোগ দেবে না । কেননা সে তো নিজের টাকা গচ্ছা দিয়ে  কিনেছে তাহলে অপরজনের ফ্রি দেবে কেন?
৩। আমার অভিজ্ঞতায় বলছি, আমি প্রায় ৩ বছর ধরে লাইসেন্স এন্টিভাইরাস ব্যবহার করছি ও অনেকের ক্রয় করে দিয়েছি। প্রথম বছর করেছিলাম সিঙ্গাপুরের PC tools security, পরের বছর Kaspersky 2010 ক্রয় করেছিলাম প্রায় ১,৩৫০ টাকা। তখন আমি আমার লাইসেন্স কী অনেক বন্ধু মহলের মাঝে কাজে লাগিয়েছিলাম। কাজটি Sucess হয়েছিল। বর্তমানে আমি নিজে Eset security-4 ব্যবহার করছি।
৪। যারা লাইসেন্স এন্টিভাইরাস কিনতে আগ্রহী তারা মার্কেট থেকে Avira ক্রয় করতে পারেন। এটি জার্মানীর তৈরি। পিসি স্লো করবেনা। প্রমোশন হিসাবে ১১০০/ – ২ বছরের মেয়াদ থাকছে। Offer টি সীমিত সময়ের জন্য প্রযোজ্য।
Crack বা Patch File গুলো কতটুকু নিরাপদ?
এক কথায় বলা যায়, Orginal License কী থেকে ক্রাক করা বা প্যাচ ফাইলগুলো মোটেও সুবিধাজনক নয়। কেননা, কোম্পানী থেকে যখন লাইসেন্স ক্রয় করা হয় তখন এন্টিভাইরাস কর্তৃপক্ষ গ্রাহকের ঐ কোডিং ও লাইসেন্স নম্বর সংগ্রহে রাখে। ফলে, যারা টাকার বিনিময়ে সেবা গ্রহন করছে কোম্পানী গ্রাহকদের নির্ধারিত মেয়াদ পর্যন্ত সেবা দিতে বাধ্য ।
অনেক কোম্পানী গ্রাহকের আইপি নম্বর ও মেইল এড্রেস সংরক্ষনে রাখে। ফলে একটি কোম্পানির বুঝতে অসুবিধা হয় না কারা বৈধ বা অবৈধ গ্রহক।
এখন অনেকেই বলবেন, ক্রাক করা বা প্যাচ ফাইল  লাইসেন্স সফটওয়্যারের মতই সকল কাজ করছে, আপডেট হচ্ছে। তাহলে সমস্যা কোথায়?
আমিও স্বীকার করি ক্রাক ফাইলে সবই করা যাবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল-যখনই কোম্পানী তাদের নিজস্ব সার্চিং সফটওয়্যার দ্বারা নজরদারি বা আআআড়ি পাতে তখনই বিপদ ঘটে। তারা সহজেই বুঝতে পারেন কোথায়, কি ঘটছে। তাইতো অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, ক্রাক /প্যাচ ফাইল কাজ করছেনা। ব্লক হয়ে গেছে। এখানে অনেকেই মন্তব্য করবেন-বিভিন্ন এন্টিভাইরাসের  ক্রাক ফাইল ব্যবহার করে আপডেট করা যাবে কিন্তু  প্রোগ্রাম ভার্সন আপডেট করবেন না ইত্যাদি। যদি প্রোগ্রাম ভার্সন ভার্সন আপডেট করেন তাহলে  Crack ফাইল কাজ করবেনা।
এখন আপনিই বলেন, নিশ্চয় কোম্পানী টের পেয়েছে তাই পরবর্তী ভার্সন আপডেট করলে কাজ হবে না ব্লক হয়ে যাবে। এখানে যদি কোম্পানী প্যাচ ফাইল দিবে তাহলে এন্টিভাইরাসের প্রোগ্রাম আপডেট করলে কোন সমস্যাই হবার কথা নয়।
যারা লাইসেন্স এন্টিভাইরাস ব্যবহার করেন তাদের প্রতিনিয়ত ভাইরাস সিগনেচার ও প্রোগ্রাম আপডেট দুটোই হয়ে থাকে।
এখন আপনাদের একান্ত ইচ্ছা কে কোনটা, কোন ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করবেন।
অনেক বকবক করলাম। সেই জন্য দু:খ প্রকাশ করছি। কেননা, আলোচনার মধ্য কোন একটা বিষয় মনে পড়ে গেলে সেটি না লিখলে আমার ভাল লাগেনা, মনে হয় কোন কাজ অসমাপ্ত আছে ইত্যাদি। অনেকে যারা এতদিন ক্রাক ফাইল সফটওয়্যার ব্যবহার করেছেন। কিন্তু এত বিস্তারিত জানেন নাই তাদের অনেকটা কাজে আসবে বলে মনে করি।
এখন মুল কাজের কথায় আছি। নতুন বছরে আজ আমি আপনাদেরকে ESET Antivirus Security উপহার দিব। সাথে Orginal Key। 100%  working ।  Dont Worry।
আপনারা যারা আগ্রহী আমার এই পোষ্টের সর্বশেষে একটি Download link পাবেন। সেখানেই সবকিছু দেওয়া থাকবে। ডাউনলোড ফাইলে আমি যা কিছু যোগ করেছি তথারুপ-
১। Eset  এর Genuin key
২। Eset 5 এর প্রথম ধাপের Install File
৩। Eset ব্যবহারের একটি বই
৪। Eset  একটি ক্রাক ফাইল আজীবন পর্যন্ত চলবে
৫। ইসেটের নানবিধ তথ্যবহুল একটি PDF ফাইল
Eset smart securit 05
আমি এই পর্যন্ত নিজে যতগুলো এন্টিভাইরাস ব্যবহার করেছি। ইসেটের সাথে কারোর তুলনা হয়না। যদি প্রশ্ন করা হয় বর্তমানে কোন এন্টিভাইরাস টপলিডার হিসাবে সবার উপরে? এখানে আমি ইসেটকেই সবার শীর্ষেই বলব। আরও বলব এখন ইসেটের প্রতিদ্বন্দী শুধু ইসেটই। বর্তমানে এন্টিভাইরাস হিসাবে ১ম Eset, ২য় Norton, ৩য় Kaspersky অবস্থানে আছে। তাছাড়া Eset একটি শান্ত শীষ্ট এন্টিভাইরাস। এর নানবিধ বৈশিষ্ট আছে যেখানে অন্য এন্টিভাইরাসে পাবেন না। যেমন-
১। এটি পিসিকে কখনোই  স্লো করেনা। বরং পূর্বের থেকে পিসির গতিকে সাবলিল ও গতিশীল করে তোলে।
২। অযথা Ram এর  জায়গা দখল করেনা।
৩। ডাউনলোড ফাইল আকার বেশী নয় । যে কোন মডেম থেকে সহজেই ইনষ্টল করা যায়। কিন্তু অন্য এন্টিভাইরাস ডাউনলোডের ক্ষেত্রে বিরক্তিকর যেমন- নর্টনের প্রথমদিকে ডাউনলোড ফাইল এর  আকার প্রায় ১৩০ এমবি. ক্যাসপার স্কাই এর তাই। ইসেটের মাত্র ১৫-২৫ এমবি.
৪।  Eset  স্প্যাম মেইল ধরতে অত্যন্ত পটু।
৫। যে কোন সন্দেহজনক সাইটকে Automatic ব্লক করে দেয়।
৬। মাসে ২ বার হলেও আপডেট করতে পারবেন- যারা জিপি সীম কে ইন্টারনেট হিসাবে Use করেন, তারা ১০ টাকা ভরলেই হবে। অর্থাৎ ১৫ দিনে আপডেট ফাইল নামাতে সাইজ মাত্র ২ মেগাবাইটের মত লাগবে। কিন্তু অন্য সকল এন্টিভাইরাসে প্রতিনিয়তই আপডেট সচল রাখতে হয়।
৭। User Interface অসাধারন ও  সহজে বোধগম্য।
৮। যে কোন ভাইরাস পাওয়া মাত্রই ও ভাইরাস যুক্ত ফাইলকে Automatic ব্লক করে দেয়। ফলে পিসিতে কোন ভাইরাস ক্ষতি করতে পারেন।
৯। অন্য এন্টিভাইরাস USB কে ডিটেক্ট করতে পারেনা। আবার নিজেদের স্ক্যান করে দেখিয়ে দিতে হয়। কিন্তু ইসেট নিজেই ইউএসবিকে ডিটেক্ট করে নেয় এবং স্ক্যান করার জন্য তৈরি থাকে।
Eset  কে কিভাবে ইনষ্টল করবেন?
পূর্বে Eset Install করা অনেক সহজ ব্যাপার ছিল। অর্থাৎ পূর্বে Eset  সাইট থেকে যে কোন ফাইলকে ডাউনলোড করে নিলে শুধু Password ও Serial Key দিলেই হত। তাছড়া Download ফাইলকে অফলাইন হিসাবে যে কোন সময় পূনরায় ইনষ্টলের কাজে লাগানো যেত। বর্তমানে Eset Vendor অনেক চালাক হয়ে গেছে।  যেখানে অন্য এন্টিভাইরাস কোম্পানীর অফলাইনে Install এর সুবিধা দেয়  কিন্তু ইসেট এখানে অফলাইনের মত Install এর সুযোগ বন্ধ করে দিয়েছে।  তাই Install করতে হলে ইসেটের সাইট থেকে Live Install করতে হবে। অবশ্য যাদের পিসিতে পূর্বে ইসেটের ফাইল Download করা অআছে ( প্রায় ৫৮ MB সাইজের) তারা অফলাইনে Install  করতে পারবেন। কিন্তু সমস্যা একটি থাকছে যখনই নতুন করে আপডেট করা হচ্ছে তখন পূর্বেকার Install system কে ইসেট সার্পোট করছেনা। যেমন আমি পূর্বেকার System এ-ফাইল ডাউনলোড করতে গিয়ে ৪ বার ধরা খেয়েছি। দেখা গেছে এখানে সবই ইনষ্টল ও আপডেট হয়েছে কিন্তু ফাইল Missing করছে ইসেট সঠিকভাবে কাজ করছেনা। তাই সবচেয়ে উত্তম কাজ হল- Eset server থেকে সরাসরি Install ও Update করা।
অবশ্য আমি আপনাদেরকে সুবিধার জন্য সরাসরি আপডেটের প্রায় ২ এমবির একটি Install file দিয়েছি Download pacage এর মধ্য। ফাইল নং-০১০১ । Install করতে হলে প্রথমে নেট চালু করুন। এবার আমার দেয়া উক্ত ফাইল চালু করুন। নিম্নরুপ এন্টারফেস আসবে-

২। এবার উক্ত স্কীনের Install এ- ক্লিক করুন। ব্যস কাজ শুরু হয়ে যাবে।
৩। কাজের প্রসেস % হিসাবে দেখাবে ও কতটুকু সময় লাগবে তা দেখাবে।
৪। এখানে যদি বাংলা লায়ন বা কিউবির ৫১২ KBPS গতিতে ডাউনলোড করেন তাহলে প্রায় ২৫ মিনিট লাগবে। আর যদি জিপি মডেম দিয়ে কাজ করেন তাহলে প্রায় ১১০ মিনিট সময় নিবে। পরামর্শ- যারা জিপি মডেম দ্বারা কাজ করবেন তাদের এই কাজ টি ভোরবেলা ৫.০০ দিকে করলে ভাল হয়। এই সময় স্পিড ভাল থাকে। প্রায় ৭০ মিনিটেই কাজ শেষ  করা যাবে।
৪। কাজ শেষ হলে পিসি রিস্টার্ট চাইবে বা নিজেই রিস্টার্ট হবে। তারপর আবার নেট কানেকশন চালু করুন। Eest Install করা ফাইলটি চালু করলে পাসওয়ার্ড ও সিরিয়াল কী চাইবে তখন আমার দেয়া Serial key, Password পেষ্ট করে দিলেই হবে। চিক্র—–

৫। অতপর ইসেট নতুন করে আপডেট নামাবে প্রায় ১৫ এমবি ফাইল সাইজ। আপডেট হলে একটি Successful ম্যাসেজ Show করবে।
৬। তারপর পূনরায় পিসি রিস্টার্ট করে ইসেট চালু করে পুরো পিসি একাবার Scanning করে নিন।
৭। পরিশেষে ইসেট সম্পূর্ণ Install, Update সঠিক হলে ০১ বছরের লাইসেন্স এর মেয়াদ হিসাবে শো করবে ।

৮। ইসেট নেট কানেকশন চালু থাকলে অটোমেটিক আপডেট নেয়। তাছড়া অনেকদিন নেট বন্ধ রেখে চালু করলে আপডেটের সময় ইসেট সেটিংসে গিয়ে আপডেটে ক্লিক করলেই হবে। নিম্নুরপ-
৯। যদি কোন ভাইরাসকে ক্লিন করতে হয় তাহলে যে কোন ফাইল/ফোল্ডার ও ড্রাইভের ডান বাটনে ক্লিক করে একটি মেনু আসবে সেখানে Cleans File এ- ক্লিক করলেই হবে।

আশা করি ইসেট সম্পর্কে অনেক কিছু ধারনা পেলেন ও ব্যবহারের নিয়ম জানলেন আরো কিছু জানতে আমার ডাউনলোডে দেয়া Eset manual Book পড়লে সব জানতে পারবেন।
ইসেট বর্তমানে অন্য সকল কোম্পানীর প্রধান প্রতিদ্বন্ধী। ইসেট সাইটে প্রবেশ করলে Competition নামে একটি মেনু রায়েছে সেখানে ক্লিক করলে যাবতীয় এন্টিভাইরাসের Statistics জানা যাবে। যেমন- ইসেট ক্যাস্পারস্কীর সাথে নিজেকে তুলনা করছে-
এই রকম আরো কিছু নমুনা দেখতে যেমন-Norton, F-secure,Panda,AVG, Bitdefender এর সাথে কম্পিটেশন দেথতে লিচের লিংক অনুসরন করলেই হবে-
Share Link-
একটি প্রশ্ন-
অনেকেই হয়ত বলবেন যে, ইসেট যে সকল কমপিটিশনে প্রতিটি ফলাফলে নিজেদেরকে সেরা দেখিয়েছে এটি তাদের মনগড়া ও বানানো ফলাফল। আসলে প্রাথিমকভাবে আপনাদের ধারনা সত্যি মনে হলেও তাহা নিছক ভূল। প্রথমদিকে আমি ভেবেছিলাম এটি তাদের বানানো তথ্য। কিন্তু পরবর্তীতে আমার ভূল ভাঙ্গে। কেননা, ইসেট যে তথ্যাবলী পরিবেশণ করেছে তাহা নিজেদের বানানো পরিসংখ্যান নয়। এখানে ইসেট উল্লেখ করেছে কারা এই ফলাফল প্রকাশ করেছে ও কোন সংস্থাটি কাজ করেছে। যেমন- তাদের প্রতিটি ফলাফলের নিচে ছোট করে লেখা  আছে- Source: www.virusbtn.com, May 1998 – December 2011, Source: www.av-comparatives.org, May 1998 – December 2011 । উল্লেখ্য Source: www.av-comparatives.org, www.virusbtn.com
এই দুটি পৃথিবীর সর্ববৃহৎ এন্টিভাইরাস সোসাইটির সংগঠণ কমিটি। আমাদের দেশে যেমন বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিনিধি কমিটি রয়েছে। কোন কাজ করতে গেলে তাদের অনুমোদন নিতে হয় ও তাদের নিয়ামানুযায়ী কাজ করতে হয়। তেমনি সমস্ত পৃথিবীর এন্টিভাইরাস কোম্পানীদের কমিতি বা সমিতির ফাদার হল এই দুটি সাইট। কোন এন্টিভাইরাস বাজার জাত করতে গেলে, কোম্পানী গঠন করতে গেলে তাদের অনুমতি নিতে হয়, লাইসেন্স করতে হয়। এই কারনে প্রতিটি কোম্পানী এন্টিভাইরাসের প্যাকেটে লেখা থাকে av-comparatives, virusbtn ইত্যাদি। তাছাড়া এই দুটি কমিটির মুল কাজ হল প্রতিটি এন্টিভাইরাস কোম্পানীর বার্ষীক রিপোর্ট পেশ করা, গ্রাহক জরিপ করা, এন্টিভাইরাসের যাবতীয় কর্মকান্ডের ফলাফল প্রস্তুত করা ও তাদের বিভিন্ন বিষয়ে নির্দশনা দেওয়া ইত্যাদি। এবার নিশ্চয় ব্যাপারটি বুঝতে অসুবিধা হবার কথা নয়। এখানে যদি এই কমিটি নিজে থেকে ফলাফল প্রস্তুত না করতেন তাহলে ন্য সকল কোম্পানী নিজেদের সাইটে প্রশংসার কথা অবশ্যই জুড়ে দিত ও মনগড়া তথ্যাদি পরিবেশন করত। তাই অন্য সকল এন্টিভাইরাস সাইটে এই বিষয়ে তাদের কোন তথ্য দেয়া হয় না। কিন্তু ইসেট একমাত্র ব্যতিক্রম যারা নিজেরা ও অন্যদের সঠিক তথ্য আমাদের মাঝে শেয়ার করছে। www.av-comparatives.org, www.virusbtn.com প্রতি ০৩ মাস পরপর ধারাবাহিক তথ্যাবলী আপডেট করে থাকে। সুতরাং সেখানে ইসেটও ব্যতিক্রম তারাও তথ্যাবলী আপডেট করে থাকে।

ইসেট বর্তমানে পৃথিবির সকল দেশেই ব্যবসা করছে। আমাদের বাংলাদেশেও। প্রথমদিকে ইসেটের (স্মার্ট সিকিউরিটি) দেশী বাজার মূল্য ছিল প্রায় ১১০০/-এখন ইসেটের মূল্য প্রায় ১৫০০/- । এখানে সহজে প্রতীয়মান হয় যে, ইসেট দ্রুতভাবে বাংলাদেশে সাড়া ফেলতে সক্ষম হয়েছে ও দিন দিন চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছেই। উদাহরন ভাবে বলা যায়, আমি রাজশাহীর কম্পিউটার মার্কেটে আমার পরিচিত একটি কম্পিউটার দোকান নাম (Computer Fair)।নিউ মার্কেটের মধ্য প্রায় ১০/১২ টি শোরুম আছে তার মধ্য সবচেয়ে বেশী বিক্রির হার ও সন্তোষজনক গ্রাহক সেবা কম্পিউটার ফেয়ার দিয়ে থাকে। অন্য শোরুম সম্পর্কে রিপোর্ট পেয়েছি তাদের গ্রাহক সেবাটা ভালভাবে দিতে পারেনা। কেননা, ওয়ারেন্টি সার্ভিস নিয়ে টাল বাহানা শুরু করে এমন অভিযোগ আছে, কিন্তু ফেয়ার সেখানে একদম শংকামুক্ত। আমি ও আমার বন্ধুদের অনেকের হার্ড ওয়্যার সামগ্রী এখান থেকে মাঝেমধ্য ক্রয় করি। এরমধ্য যে সকল জিনিসের সমস্যা হয়েছিল তা তারা ওয়ারেন্টি সার্ভিস এর অআওতায় পরিবর্তন করেদিয়ে ছিল। এখানে শুধু আমাকে নয়, প্রতিটি গ্রাহক সেবাই সমানভাবে তারা গুরুত্ব দিয়ে থাকেন।ইতিপূর্বে নিউমার্কেটের ফেয়ার মতই একটি স্বনামধন্য শোরুম থেকে (বিশেষ কারনে নাম দেওয়া সম্ভব হলনা) একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রডাক্ট ক্রয় করেছিলাম। তারা ওয়ারেন্টি দিয়েছিলেন। কিন্তু মাস ৫ পর সমস্যা হলে তাদের কাছে নিয়ে গেলে তারা টালবাহানা শুরু করেন। এক সময় কথা কাটাকাটি হয়। পরে ভার্সিটি থেকে বন্ধুদের মিমাংসায় উক্ত কাজের সমাধান হয়। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, এনাদের মূলত সততা, কাষ্টমার সার্ভিস, সঠিক ভাবে ওয়ারেনটি সার্ভিস দেবার কারনে ব্যবসাটা অনেক সফল বলা যায়। আমি তাদেরকে প্রথম ইসেট এন্টিভাইরাস আনতে অনুরোধ করেছিলাম। তারা আমার অনুরোধ রেখেছিলেন। প্রায় ৩ লক্ষ টাকার মত ইসেটের প্রায় ৩ টি বড় প্যাকেট এনেছিলনে। তাদের কাছ থেকে ১০৫০/- টাকা দিয়ে একটি ইসেট নিই। উল্লখ্য তারা ইসেটের সাথে জিডাটা, ক্যাস্পাস্কী, ইস্ক্যান নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু দেখা গেল- প্রায় ১ বছরের মাথায় ইসেট সব বিক্রি হয়ে গেছে। কিন্তু প্রায় ২ বছর হয়ে গেল অন্য সকল এন্টিভাইরাস সেই ভাবেই পড়ে আছে। বিক্রি সফল হয়নি। আবার কিছু দিন পূর্বে (প্রায় ২মাস) ঢাকার ইসিএস, বিসিএস কম্পিউটার সিটিতে গিয়ে খবর নিলাম। ইসেটের চাহিদাটাই বেশী।
১২। আমার ডাউনলোড ফাইলে ইসেট ক্রাক ফাইল দেয়া আছে। যারা আজীবন ধরে ইসেট চালাতে চান তাদের জন্য। এটি ব্যবহার করতে হলে ইসেট পূর্ব থেকেই পিসিতে ইনষ্ঠল থাকতে হবে। অতপর পিসিকে রিস্টার্ট করে F8 কী চেপে সেফমুডে চালু করে ঐ ক্রাক ফাইল ইনষ্টল বা চালু করে পিসি পূনরায় রিস্টার্ট করে স্বাভাবিক মুডে চালু করুন। ব্যস উপভোগ করুন- Lifetime ইসেটের ব্যবহার।
বিঃদ্র- এখানে যারা Original License ব্যবহার করতে চান ও যারা Crack File ব্যবহার করতে পচ্ছন্দ করেন তাদের উভয়ের জন্য এই উপহার। কিন্তু ক্রাক ফাইল যদি ইসেট কর্তৃপক্ষ ব্লক করে দেয় তাহলে আমাকে দোষারোপ করবেন না। আর License key এর কাজ ১০০% হবেই। ভয় নাই! ২০১২ সাল পর্যন্ত নিশিচ্ন্তে ব্যবহার করুন।
Eset  একটি ক্রাক ফাইল আজীবন কিভাবে চালাবেন?
ইসেটের ক্রাক ফাইল চালাতে হলে প্রথমত অআপনার পিসিতে ইসেট সিকিউরিটি ইনষ্টল করে নিন। অতপর পিসি রিস্টার্ট করে সেইফমুডে চালু করুন। এবার ক্রাক ফাইলটি ইনষ্টল করে পিসিটি পূনরায় রিস্টার্ট করে চালু করে নিলেই হবে।
তবে যারা জেনুইন লাইসেন্স কি ব্যবহার করবেন তাদের ক্রাক করবার প্রয়োজন নাই। কেননা, লাইসেন্স কি চলবে ০৩/১২/১২ ইং পর্যন্ত। তবে যারা ক্রাক ফাইল ব্যবহার করতে পচ্ছন্দ করেন তাদের জন্য এই সিস্টেমটি উপহার দিলাম।
ইসেট উপহারের প্যাকেজটি (সিরিয়াল কীসহ) ডাউনলোড করতে এই খানে ক্লিক করুন-
Eset Smart Security সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন-
আজ এই পর্যন্তই। এই পোস্টটি অলংকরন ও এডিট করতে প্রায় ০৩ দিন সময় ব্যয় করতে হয়েছে। তবুও পোষ্টটির কোন ভূল ত্রুটি , বানাণগত সমস্যা দৃষ্টি গোচর হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার আহবান রাখছি।  এবং হ্যা কোন সমস্যার মুখোমুখি হলে কমেন্ট করতে ভূলবেন না! উত্তর দেবার চেষ্টা করব। পরিশেষে সবার সুখীজীবন ও সুস্থতা কামনা করছি।আল্লাহ হাফেজ-